বাংলা অ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ সহজে শিখুন

Written by Jarif Al Hadee

Published on:

বাংলা ভাষায় অ ধ্বনির উচ্চারণ নিয়মগুলো সহজভাবে বুঝুন। সংবৃত এবং বিবৃত উচ্চারণের ৫টি নিয়ম উদাহরণসহ। ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য আদর্শ গাইড, যা বাংলা ব্যাকরণ শেখায় এবং উচ্চারণ উন্নত করে।

WhatsApp Group Join Now

প্রিয় পাঠক, বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা হিসেবে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু অনেক সময় আমরা শব্দগুলোর সঠিক উচ্চারণ ভুলে যাই, যা কথা বলার সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। আজকের এই লেখায় আমরা বাংলা অ ধ্বনির উচ্চারণ নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই নিয়মগুলো শিখলে আপনার বাংলা উচ্চারণ আরও পরিষ্কার এবং আত্মবিশ্বাসী হবে। বিশেষ করে এইচএসসি বা অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এগুলো খুবই কাজে লাগবে। চলুন, ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।

আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু

বাংলা উচ্চারণের মূল ধারণা

বাংলা ভাষায় উচ্চারণের রীতি বলতে শব্দের সঠিক ধ্বনি বের করার নিয়মগুলোকে বোঝায়। এতে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয় ঘটে। অ ধ্বনি বাংলার প্রথম স্বরবর্ণ, যা বিভিন্ন অবস্থানে বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়। কখনো এটি স্বাভাবিক ‘অ’ এর মতো শোনায়, আবার কখনো ‘ও’ এর মতো। এই পরিবর্তনগুলো নিয়মভিত্তিক, যা আমরা নিচে বিস্তারিত দেখব।

অ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ কী?

সংবৃত উচ্চারণ বলতে ‘অ’ ধ্বনির যখন ‘ও’ এর মতো গোলাকার মুখ করে উচ্চারণ হয়। এটি চোয়াল কম ফাঁক করে বলা হয়। এই অংশে আমরা ৫টি নিয়ম দেখব, যা শব্দের শুরু, মাঝে বা শেষে প্রযোজ্য।

নিয়ম ১: শব্দের শুরুতে র-ফলা থাকলে

শব্দের প্রথম অংশে যদি র-ফলা যুক্ত ‘অ’ থাকে, তাহলে এর উচ্চারণ ‘ও’ এর মতো হয়। উদাহরণস্বরূপ, ‘স্রষ্টা’ শব্দটি ‘স্রোষ্টা’ বলে উচ্চারিত হয়। একইভাবে ‘গ্রন্থ’ হয় ‘গ্রোনথ’, ‘প্রভাত’ হয় ‘প্রোভাত’। এই নিয়ম তৎসম শব্দে বেশি দেখা যায়।

নিয়ম ২: ই, ঈ, উ, ঊ বা য-ফলার পরে

‘অ’ এর পর যদি ই-কার, ঈ-কার, উ-কার, ঊ-কার, য-ফলা বা ক্ষ থাকে, তাহলে ‘অ’ ‘ও’ এর মতো শোনায়। যেমন, ‘রবি’ হয় ‘রোবি’, ‘বউ’ হয় ‘বোউ’, ‘মধু’ হয় ‘মোধু’, ‘গদ্য’ হয় ‘গোদ্য’, ‘লক্ষ’ হয় ‘লোক্ষ’। এটি শব্দের প্রবাহ সহজ করে।

নিয়ম ৩: চলিত ভাষায় বিশেষ শব্দে

চলিত বাংলায় কিছু বিশেষ্য বা বিশেষণে ‘অ’ স্বাভাবিকভাবে ‘ও’ তে পরিণত হয়। উদাহরণ: ‘পড়ো’ হয় ‘পোড়ো’, ‘ঝড়ো’ হয় ‘ঝোড়ো’, ‘মারধর’ হয় ‘মারধোর’, ‘রাতভর’ হয় ‘রাতভোর’। এগুলো দৈনন্দিন কথায় ব্যবহৃত হয়।

নিয়ম ৪: একাক্ষর শব্দের শেষে ণ বা ন

যদি একটি অক্ষরের শব্দের শেষে ‘ণ’ বা ‘ন’ থাকে, তাহলে ‘অ’ ‘ও’ এর মতো হয়। যেমন, ‘বন’ হয় ‘বোন’, ‘মন’ হয় ‘মোন’। এটি সংক্ষিপ্ত শব্দে সাধারণ।

নিয়ম ৫: তদ্ভব শব্দের শেষে

বাংলার তদ্ভব শব্দের শেষ ‘অ’ প্রায়শই ‘ও’ তে রূপান্তরিত হয়। উদাহরণ: ‘ভাল’ হয় ‘ভালো’, ‘কত’ হয় ‘কতো’, ‘বার’ হয় ‘বারো’, ‘কোন’ হয় ‘কোনো’। এটি আমাদের কথ্য ভাষায় খুব প্রচলিত।

বাংলা অ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম

বিবৃত উচ্চারণে ‘অ’ তার স্বাভাবিক আকারে শোনায়, চোয়াল বেশি ফাঁক করে বলা হয় এবং ঠোঁট সোজা থাকে। নিচে ৫টি নিয়ম।

নিয়ম ১: দ্বিতীয় স্বর ‘অ’, ‘আ’ বা ‘ও’

শব্দের দ্বিতীয় অংশে যদি ‘অ’, ‘আ’ বা ‘ও’ থাকে, তাহলে প্রথম ‘অ’ স্বাভাবিক থাকে। যেমন, ‘অন্ন’, ‘অর্ধ’, ‘অক্ষর’, ‘কলম’, ‘অমল’।

নিয়ম ২: স বা সম উপসর্গে

‘স’ বা ‘সম’ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দে আদ্য ‘অ’ স্বাভাবিক। উদাহরণ: ‘সস্নেহ’, ‘সহাস্য’, ‘সজীব’, ‘সরল’, ‘সবিনয়’।

নিয়ম ৩: না অর্থে ‘অ’ বা ‘অন’

নেগেটিভ অর্থের ‘অ’ বা ‘অন’ স্বাভাবিক উচ্চারিত। যেমন, ‘অমূল্য’, ‘অমৃত’, ‘অস্থির’, ‘অনিয়ম’, ‘অনাগত’।

নিয়ম ৪: স্বাভাবিক অ-কার

‘অ’ এর নিজস্ব অবস্থায় স্বাভাবিক উচ্চারণ। উদাহরণ: ‘জল’, ‘সরল’, ‘দখল’, ‘কথা’।

নিয়ম ৫: একাক্ষর শব্দে স্বরধ্বনি

এক অক্ষরের শব্দে ‘অ’ স্বাভাবিক। যেমন, ‘নদ’, ‘টব’, ‘শব’, ‘দম’, ‘রব’।

আদ্য অ-কারের উচ্চারণ নিয়ম

শব্দের শুরুতে ‘অ’ এর বিশেষ নিয়ম রয়েছে।

নিয়ম ১: ই বা উ-কারের পরে

আদ্য ‘অ’ এর পর ই বা উ-কার থাকলে ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘গতি’ হয় ‘গোতি’, ‘অধিকার’ হয় ‘ওধিকার’, ‘গরু’ হয় ‘গোরু’।

নিয়ম ২: য-ফলা বা ব্যঞ্জনের পরে

য-ফলা যুক্ত হলে ‘ও’ এর মতো। উদাহরণ: ‘অন্য’ হয় ‘ওন্য’, ‘কল্যাণ’ হয় ‘কোল্যাণ’।

নিয়ম ৩: ক্ষ বা জ্ঞ এর পরে

‘ক্ষ’ বা ‘জ্ঞ’ এর সাথে ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘দক্ষ’ হয় ‘দোক্ষ’, ‘যজ্ঞ’ হয় ‘যোজ্ঞ’।

নিয়ম ৪: র-ফলা সহ

র-ফলা যুক্ত আদ্য ‘অ’ ‘ও’ এর মতো। উদাহরণ: ‘গ্রহ’ হয় ‘গ্রোহ’, ‘গ্রন্থ’ হয় ‘গ্রোনথ’।

নিয়ম ৫: ন এর সাথে একাক্ষরে

এক অক্ষরে ‘ন’ সহ ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘মন’ হয় ‘মোন’, ‘বন’ হয় ‘বোন’।

মধ্য অ-কারের উচ্চারণ

শব্দের মাঝে ‘অ’ এর নিয়ম।

নিয়ম ১: ই, উ বা ঋ-কারের আগে য-ফলা

য-ফলার আগে এগুলো থাকলে ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘অদম্য’ হয় ‘অদোম্য’।

নিয়ম ২: তিন অক্ষরের শব্দে আগে অ, আ, এ বা ও

এগুলোর পর ‘ও’ এর মতো। উদাহরণ: ‘কাজল’ হয় ‘কাজোল’, ‘কলম’ হয় ‘কলোম’।

নিয়ম ৩: এ-কারের পরে

‘এ’ এর পর ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘কেতন’ হয় ‘কেতোন’, ‘বেতন’ হয় ‘বেতোন’।

নিয়ম ৪: সমাসবদ্ধ তৎসম শব্দে

সমাসে ‘ও’ এর মতো। উদাহরণ: ‘বনবাসী’ হয় ‘বনোবাসী’, ‘পথচারী’ হয় ‘পথোচারী’।

নিয়ম ৫: আ-কারের পরে

‘আ’ এর পর ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘আসল’ হয় ‘আশোল’, ‘ভাষণ’ হয় ‘ভাশোন’।

অন্ত্য অ-কারের নিয়ম

শব্দের শেষে ‘অ’।

নিয়ম ১: যুক্তবর্ণ সহ

যুক্তবর্ণ থাকলে ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘কর্ম’ হয় ‘কর্মো’, ‘প্রাপ্ত’ হয় ‘প্রাপ্তো’।

নিয়ম ২: অনুস্বারের পরে

অনুস্বারের পর ‘ও’। উদাহরণ: ‘অংশ’ হয় ‘অংশো’, ‘বংশ’ হয় ‘বংশো’।

নিয়ম ৩: দ্বিরুক্ত বিশেষণে

দ্বিরুক্তে ‘ও’ এর মতো। যেমন, ‘কাঁদ কাঁদ’ হয় ‘কাঁদো কাঁদো’।

নিয়ম ৪: বিশেষণে

বিশেষণের শেষ ‘ও’। উদাহরণ: ‘কত’ হয় ‘কতো’, ‘বড়’ হয় ‘বড়ো’।

নিয়ম ৫: র-ফলা বা ঋ-কারের পরে

এগুলোর পর ‘ও’। যেমন, ‘মৃত’ হয় ‘মৃতো’, ‘ধৃত’ হয় ‘ধৃতো’।

এ ধ্বনির উচ্চারণ নিয়ম

এখন আসুন এ ধ্বনির দিকে। এটিও সংবৃত এবং বিবৃত হয়।

আদ্য এ-ধ্বনির নিয়ম

নিয়ম ১: ই, উ, এ, ও ইত্যাদির পরে অবিকৃত

এগুলোর পর ‘এ’ স্বাভাবিক। যেমন, ‘একি’, ‘দেখি’, ‘বেশি’।

নিয়ম ২: ঙ বা ঙ্গ এর পরে আ-কারে

‘এ’ ‘আ’ তে পরিণত। উদাহরণ: ‘বেঙ’ হয় ‘ব্যাঙ’।

নিয়ম ৩: ধাতুর সাথে আ-প্রত্যয়ে অ্যা-কার

যেমন, ‘খেলা’ হয় ‘খ্যালা’।

নিয়ম ৪: সর্বনামে স্বাভাবিক

যেমন, ‘যে’, ‘এ’, ‘সে’।

নিয়ম ৫: অ বা আ এর পরে অ্যা-কার

যেমন, ‘এখন’ হয় ‘অ্যাখন’।

এ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ

নিয়ম ১: পদের শেষে

যেমন, ‘দোষে’, ‘পথে’।

নিয়ম ২: তৎসম শব্দের শুরুতে

যেমন, ‘দেশ’, ‘প্রেম’।

নিয়ম ৩: দুই অক্ষরের সর্বনামে বিবৃত

যেমন, ‘এত’ হয় ‘অ্যাতো’।

নিয়ম ৪: ই বা উ-কারের পরে

যেমন, ‘বেলুন’, ‘দেখি’।

নিয়ম ৫: ক্রিয়াপদের অনুজ্ঞায়

যেমন, ‘খেল’ হয় ‘খ্যাল’।

এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ

নিয়ম ১: দুই অক্ষরের সর্বনামে

যেমন, ‘এত’ হয় ‘অ্যাত’।

নিয়ম ২: অনুস্বারের আগে

যেমন, ‘চেংড়া’ হয় ‘চ্যাংড়া’।

নিয়ম ৩: খাঁটি বাংলা শব্দে

যেমন, ‘খেমটা’ হয় ‘খ্যামটা’।

নিয়ম ৪: সংখ্যাবাচকে

যেমন, ‘এক চোট’ হয় ‘অ্যাক চোট’।

নিয়ম ৫: ক্রিয়াপদের অনুজ্ঞায়

যেমন, ‘দেখ’ হয় ‘দ্যাখ’।

ফলাযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ: ব, ম, য-ফলা

ব-ফলার ৫টি নিয়ম

নিয়ম ১: শব্দের শুরুতে উচ্চারণ নেই

যেমন, ‘ধ্বনি’ হয় ‘ধোনি’।

নিয়ম ২: মধ্য বা শেষে দ্বিত্ব

যেমন, ‘বিশ্ব’ হয় ‘বিশশ’।

নিয়ম ৩: যুক্তবর্ণে বহাল

যেমন, ‘সান্ত্বনা’ হয় ‘শান্তোনা’।

নিয়ম ৪: ব-য়ে বা ম-য়ে বহাল

যেমন, ‘নব্বই’ হয় ‘নোব্বই’।

নিয়ম ৫: দ্ব-ফলায় বহাল

যেমন, ‘উদ্বেল’ হয় ‘উদবেল’।

ম-ফলার নিয়ম

নিয়ম ১: প্রথম বর্ণে উচ্চারণ নেই

যেমন, ‘শ্মশান’ হয় ‘শশান’।

নিয়ম ২: মধ্যে দ্বিত্ব

যেমন, ‘পদ্ম’ হয় ‘পদ্দ’।

নিয়ম ৩: নির্দিষ্ট বর্ণের সাথে অবিকৃত

যেমন, ‘জন্ম’ হয় ‘জনমো’।

নিয়ম ৪: যুক্তবর্ণে আনুনাসিক

যেমন, ‘সূক্ষ্ম’ হয় ‘শুক্ষ্ম’।

নিয়ম ৫: সংস্কৃত শব্দে উচ্চারণ

যেমন, ‘স্মিত’ হয় ‘স্মিতো’।

য-ফলার নিয়ম

নিয়ম ১: আদ্যবর্ণে অ্যা-কারান্ত

যেমন, ‘ব্যক্ত’ হয় ‘ব্যাক্ত’।

নিয়ম ২: মধ্যে উচ্চারণ নেই

যেমন, ‘সন্ধ্যা’ হয় ‘শান্ধা’।

নিয়ম ৩: মধ্যে ও-কারান্ত

যেমন, ‘ধন্য’ হয় ‘ধোন্য’।

নিয়ম ৪: ই-ধ্বনির পরে এ

যেমন, ‘ব্যক্তি’ হয় ‘বেক্তি’।

নিয়ম ৫: মধ্যে দ্বিত্ব

যেমন, ‘কন্যা’ হয় ‘কোন্যা’।

প্রশ্ন-উত্তর সেকশন

অ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ কীভাবে চেনব?

যখন ‘অ’ ‘ও’ এর মতো গোল মুখ করে উচ্চারিত হয়, তখন সংবৃত। উদাহরণ: ‘রবি’ হয় ‘রোবি’।

এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের উদাহরণ দিন।

‘এখন’ হয় ‘অ্যাখন’, যেখানে চোয়াল বেশি ফাঁক হয়।

ব-ফলা কখন উচ্চারিত হয় না?

শব্দের শুরুতে, যেমন ‘ধ্বনি’ হয় ‘ধোনি’।

য-ফলার মধ্যে উচ্চারণ কী?

প্রায়শই ও-কারান্ত, যেমন ‘ধন্য’ হয় ‘ধোন্য’।

এই নিয়মগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সঠিক উচ্চারণ ভাষার সৌন্দর্য বাড়ায় এবং যোগাযোগ স্পষ্ট করে।

বাংলা অ ধ্বনির উচ্চারণ নিয়ম শিখে আপনি ভাষার গভীরতা অনুভব করবেন। এই ৫টি নিয়ম প্রত্যেকটি অংশে প্রয়োগ করে অনুশীলন করুন। নিয়মিত পড়াশোনা করলে আপনার কথা বলা আরও মধুর হবে। বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি রক্ষা করতে এগুলো মনে রাখুন। ধন্যবাদ!

DMCA.com Protection Status
Jarif Al Hadee

হ্যালো, আমি জারীফ আল হাদী- Jarif Al Hadee। আমি এই ওয়েবসাইটের এডমিন এবং একজন লেখক। আমি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে শিক্ষা সম্পর্কিত লেখালেখির সাথে জড়িত। আমি পাঠকদের মানসম্মত ও আপডেটেড তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি আমার লেখাগুলোতে। যোগাযোগ- admissiongodesk@gmail.com।