২০২৬ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ এটি শিক্ষাক্রমকে আরও সমৃদ্ধ ও আধুনিক করবে। বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কারিগরি এইচএসসি পরীক্ষায় পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ২০২৬ সাল থেকে এইচএসসি (ভোকেশনাল), বিএমটি, এবং ডিপ্লোমা ইন-কর্মাস শিক্ষাক্রমের সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীরা আরও ব্যাপক এবং সময়োপযোগী পড়াশোনার সুযোগ পাবে। এই সিলেবাসে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ করা হয়েছে, যা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত।

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে অভিন্ন সিলেবাস
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য এই অভিন্ন সিলেবাস কার্যকর হবে। এই অভিন্ন সিলেবাস শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতা আনবে এবং শিক্ষার মান বাড়াবে। বিশেষ করে, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের নতুন সংস্করণে আধুনিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরও বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। এই পরিবর্তন কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করবে। এই সিলেবাসে ব্যবহারিক এবং তাত্ত্বিক জ্ঞানের সমন্বয় থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে প্রস্তুত করবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নির্দেশনা
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সিলেবাস বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
২০২৬ সাল থেকে কারিগরি এইচএসসি পরীক্ষায় পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস চালু হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই পরিবর্তন শিক্ষার গুণগত মান বাড়াবে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনে সফলতার পথ সুগম করবে। কারিগরি শিক্ষার এই উন্নয়ন দেশের শিক্ষা খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 
			
 
    







